বাগেরহাট প্রতিনিধি :: বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে রাতের আধারে ইউনিয়ন ছাত্রদলের কার্যালয় ও স্থানীয় সমাজ কল্যান অফিসে অগ্নিসংযোগ এবং একটি দোকান লুট করেছে দূর্বৃত্তরা। শুক্রবার (০৭ সেপ্টেম্বর) গভীররাতে উপজেলার চিংড়াখালী বাজারের দুই পাহাড়াদারকে বেঁধে রেখে এই অগ্নিসংযোগ ও লুট করেন মুখোশধারীরা। অগ্নিসংযোগকারী দূর্বৃত্তদের শনাক্তপূর্বক শাস্তি চেয়েছেন বিএনপি ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।
চিংড়াখালী বাজারের পাহাড়াদার আকব্বর শেখ বলেন, মতিন শিকদার ও আমি নিয়মিত বাজার পাহাড়া দেই। গতকাল গভীররাতে হঠাৎ করে কিছু মুখোশধারী লোক এসে আমাদের দুইজনকে অস্ত্রের মুখে বেঁধে ফেলে ঈদগাহ ময়দানে রেখে দেয়। ঘন্টা দেড়েক পরে তারা চলে যায়। পরে আমাদের ডাক চিৎকারে লোকজন আসে এবং মসজিদের মাইকেও ঘোষনা দেওয়া হয় বাজারে সমস্যা হয়েছে। পরে আমরা দেখতে পাই ছাত্রদলের অফিস, সমাজকল্যান অফিসে আগুন দিয়েছে এবং ভাংচুর করেছে। আর নাইম ও সাইফুলের যে লেট্রিক্যাল-ইলেক্ট্রনিক্সের দোকান রয়েছে সেটি লুট হয়েছে। যারা আসছিল, তারা মূলত মুখোশ পড়া থাকায় আমরা কাউকে চিনতে পারিনি।
চিংড়াখালী ইউনিয়ন ছাত্রদলের সদস্য মোঃ মুন্না বলেণ, আমার দায়িত্বেই এই অফিসটি ছিল। আমরা ধারণা করছি আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা এই অগ্নিসংযোগ ও ভাংচুর করেছে।
মোরেলগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ন আহবায়ক এইচ এম নাইম রেজা উজ্জল বলেন, কিছুদিন আগে আমরা এই অফিসটি করেছি। আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা এই অফিসে আগুন দিয়েছে এবং লুট করেছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই। পাশাপাশি দোষীদের শাস্তির দাবি করছি।
ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ী সাইফুল বলেন, নাইম ও আমি এই দোকানটি চালাতাম। এখান থেকে মূলত পাইকারি দরে ইলেক্ট্রিক্যাল পন্য, ইলেক্ট্রনিক্স পন্য, গাড়ির ব্যাটারি ও ব্যাটারির পানি বিক্রি করতাম। দোকানে ১০-১২ লক্ষ টাকার মালামাল ও কিছু নগদ টাকাও ছিল। গতকাল রাতে দূর্বৃত্তরা লুট করেছে। দূর্বৃত্তদের বিচারের পাশাপাশি ক্ষতিপূরণ চাই।
চিংড়াখালী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মোঃ আব্দুস সোবহান বলেন, অগ্নিসংযোগ, ভাংচুর ও লুটপাটকারীরা সবার শত্রু। যারা এই অগ্নিসংযোগ ও হামলার সাথে জড়িত তাদের শনাক্তপূর্বক আইনের আওতায় আনার দাবি জানান এই ইউনিয়ন বিএনপি নেতা।
মোরেলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ সামছউদ্দিন জানান, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তদন্ত চলছে। অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
Leave a Reply