1. dailybanglarkhabor2010@gmail.com : দৈনিক বাংলার খবর : দৈনিক বাংলার খবর
মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫, ১২:৩১ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ :
ভারতের পুশইনের ঘটনা সুপরিকল্পিত এবং ন্যাক্কারজনক-বিজিবি মহাপরিচালক আওয়ামী লীগের নিবন্ধন স্থগিত করেছেন নির্বাচন কমিশন সাউথ এশিয়া ফ্রেন্ডসিপ অ্যাওয়ার্ড পেলেন মোরেলগঞ্জের ডা: নজরুল ইসলাম ফারুকী পুলিশের হাতে কোনো মারণাস্ত্র থাকবে না-স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে নেপালের ডেপুটি স্পিকারের সাক্ষাৎ সুন্দরবনের ১০ কিলোমিটারের মধ্যে শিল্পপ্রতিষ্ঠান নির্মাণ নিষিদ্ধ-প্রজ্ঞাপন জারি বাগেরহাট পৌর ও সদর উপজেলা যুবদলের প্রস্তুতি সভা চাঁদপুরে কোস্টগার্ডের অভিযানে ২৫ কেজি গাঁজা জব্দ সামরিক সংঘাতে পাকিস্তানের চেয়ে ভারতের ক্ষতি ২২ গুণ বেশি সাবেক রাষ্ট্রপতির দেশত্যাগের বিষয় তদন্তে উচ্চপর্যায়ের কমিটি

শিশু জাইফাকে অপহরণের নেপথ্যে কী

  • প্রকাশিত: শনিবার, ১৬ নভেম্বর, ২০২৪
  • ৪৮ বার পড়া হয়েছে

আজিমপুর থেকে শিশু অপহরণের ঘটনায় গ্রেপ্তার ফাতেমা আক্তার শাপলা

ডেস্ক:: রাজধানীর লালবাগের একটি বাসা থেকে মালামাল লুটের সঙ্গে নিয়ে যাওয়া আট মাসের শিশু কন্যা আরিসা জান্নাত জাইফাকে উদ্ধার করেছে র‌্যাব। শিশুটি এখন মায়ের সঙ্গে আছে। র‌্যাব বলছে, মুক্তিপণ আদায় করতেই শিশুটিকে অপহরণ করা হয়।

শুক্রবার সকালে শিশুটিকে নিয়ে যাওয়ার ১৬ ঘণ্টার মধ্যে উদ্ধার এবং এক দিন আগে ওই বাসার ‘সাবলেট’ হিসেবে উঠা ২৭ বছর বয়সী ফাতেমা আক্তার শাপলাকে গ্রেপ্তারের পর এমন তথ্য দিয়েছে র‌্যাব। ঘটনায় পরিবারের কেউ জড়িত আছে কি-না তা খতিয়ে দেখার পাশাপাশি র‌্যাব শিশুটির বাবাকেও নজরদারিতে রাখার কথা জানিয়েছে। গতকাল রাত দেড়টার দিকে র‌্যাব-১০ এর একটি দল মোহাম্মদপুরের নবীনগর হাউজিং এলাকায় অভিযান চালিয়ে একটি বাসা থেকে শাপলাকে গ্রেপ্তার করে। ওই বাসা থেকে তখনই জাইফাকে উদ্ধার করে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

শুক্রবার সকালে লালবাগ টাওয়ারের পাশের একটি বাসায় দোতলা বাড়ির নিচতলায় আবু জাফর ও ফারজানা আক্তার দম্পতির ফ্ল্যাটে হানা দিয়ে মালামাল ও তাদের আট মাস বয়সী দুধের শিশুটিকে নিয়ে যায় শাপলাসহ আরও তিন যুবক।

শিশু জাইফার মা ফারজানা আক্তার সরকারি চাকরি করেন এবং বাবা বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। তারা গত তিন বছর ধরে ওই বাসায় থাকছেন। তবে গত চার মাস ধরে পারিবারিক কলহের জেরে শিশুটির বাবা আলাদা রয়েছেন, তবে বাসায় তার আসা-যাওয়া ছিল।

শনিবার দুপুরে ঢাকার কারওয়ান বাজারে র‌্যাবের মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে বাহিনীর আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লেফফট্যানেন্ট কর্নেল মুনীম ফেরদৌস বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার ফাতেমা ডাকাতি ও অপহরণে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন।

তিনি বলেন, অফিসে যাতায়াত করার সময় এক সপ্তাহ আগে ফারজানা আক্তারের সাথে শাপলার পরিচয় হয়। সে সময় শাপলা ফারজানার কাছে তার নাম রাইসা এবং তার বাড়ি নওগাঁ জেলা বলে মিথ্যা পরিচয় দেয়। পাশাপাশি জানায় সে অবিবাহিত এবং একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবিএ দ্বিতীয় সেমিস্টারের ছাত্রী। পড়ালেখার পাশাপাশি সে সচিবালয়ের পরিবহন পুলে অফিস সহায়ক হিসেবে চাকরি করে।

মুনীম ফেরদৌস বলেন, গ্রেপ্তার শাপলা শিশুটির মা ফারজানা আক্তারকে আরও জানায় যে, তার ঢাকায় থাকার জন্য সাবলেট হিসেবে একটি ভালো রুম দরকার এবং তাকে সাবলেট হিসেবে বাসা ভাড়া দিলে সারাদিন বাসায় পড়াশোনার পাশাপাশি তার শিশু সন্তানকেও দেখভালও করতে পারবে।

র‌্যাবের এ কর্মকর্তা বলেন, ফারজানা সন্তানের দেখাশুনার কথা চিন্তা করে শাপলাকে সাবলেট হিসেবে বাসা ভাড়া দিতে রাজি হন এবং গত বৃহস্পতিবার বিকালে শাপলা ২ হাজার টাকা অগ্রিম দিয়ে বাসায় উঠেন।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, পরদিন শুক্রবার সকালে শাপলা ফারজানা আক্তারকে জানান, গ্রাম থেকে তার চাচাত ভাই চাল নিয়ে বাসায় আসবে। সকাল আনুমানিক সাড়ে ৮টায় শাপলা তার চাচাত ভাই পরিচয়ে তিন ব্যক্তিকে বাসায় নিয়ে আসে।

‘বাসায় আসার পর আলাপচারিতার এক পর্যায়ে শাপলা ও তার কথিত চাচাত ভাইয়েরা ধারালো অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ভুক্তভোগীর মাকে ওড়না দিয়ে হাত-পা বেঁধে ফেলে। এ সময় তারা বাসার স্বর্ণালংকার ও নগদ অর্থসহ মূল্যবান মালামাল লুট করে জাইফাকে নিয়ে যায়।’

র‌্যাব কর্মকর্তা মুনীম বলেন, অপহরণের পর ফাইজাকে নিয়ে মোহাম্মদপুরের নবীনগরের বাসায় চলে আসে শাপলা। তার সহযোগীরা গ্রেপ্তার এড়াতে আত্মগোপনে যায়। শাপলা ও তার সহযোগীরা ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ আদায় করার পরিকল্পনা করেছিল। কিন্তু ঘটনাটি গণমাধ্যম এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ায় মুক্তিপণ দাবি করেনি।

তিনি বলেন, শাপলা জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন, তার সঙ্গে এই ঘটনায় জড়িত অন্য তিনজনের নাম সুমন, হাসান ও রায়হান৷ তবে তাদের এখনও গ্রেপ্তার করা যায়নি। তারা অপহরণের দুই সপ্তাহ আগে থেকে শিশুটির মা ফারজানাকে অনুসরণ করছিল। এমনকি বৃহস্পতিবারই ডাকাতি করার পরিকল্পনা করেছিল। তবে সেদিন ওই বাসায় ভুক্তভোগীর এক আত্মীয় থাকায় তারা সফল হয়নি।

এক প্রশ্নে মুনিম ফেরদৌস বলেন, তাদের ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ চাওয়ার পরিকল্পনা ছিল। শাপলার আগে কখনও এমন অপহরণের কাজে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া যায়নি। এই চক্রের সঙ্গে ভুক্তভোগীর পরিবারের কেউ জড়িত আছে কি-না বিষয়টি তদন্তে বেরিয়ে আসবে। ভুক্তভোগীর স্বামীও আমাদের নজরদারীতে আছে।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, গ্রেপ্তার শাপলা একজন গৃহিনী। তার স্বামীর নাম মো. সেলিম হোসেন। তিনি ২০১০ সাল থেকে পরিবারের সঙ্গে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বসবাস শুরু করেন। তারা বাড়ি বগুড়ায়।

শাপলা ২০১২ সালে বগুড়ার একটি স্কুল থেকে এসএসসি এবং ২০১৪ সালে ঢাকার লালমাটিয়া থেকে এইচএসসি পাস করেন। পরে একই কলেজে মার্কেটিং বিষয়ে অনার্সে ভর্তি হয়ে পড়াশোনা শুরু করলেও তা শেষ করেননি।

২০২৩ সালে বিয়ে হয় তাদের। ৩-৪ মাস আগে মোহাম্মদপুর নবীনগর হাউজিং এলাকায় তার স্বামীর ফ্ল্যাটে বসবাস শুরু করেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত দৈনিক বাংলার খবর
ওয়েবসাইট ডিজাইন : ইয়োলো হোস্ট