ডেস্ক:: বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুৎ অ্যাসোসিয়েশনের এক বার্তায় জানানো হয়েছে, বিদ্যুৎ উপদেষ্টার আশ্বাস পাওয়ার পর আন্দোলনরত পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা গণছুটি কর্মসূচি প্রত্যাহার করেছেন।
বার্তায় বলা হয়েছে, আরইবি-পিবিএস সংস্কারের মাধ্যমে গ্রাম ও শহরের বিদ্যুৎ বৈষম্য দূর করে মানসম্মত ও নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে আন্দোলন শুরু হয়। দীর্ঘদিনের আন্দোলনের পর সরকার বিভিন্ন সময়ে একাধিক কমিটি গঠন করলেও পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের অসহযোগিতার কারণে তা বাধাগ্রস্ত হয়েছে।
পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলেই কর্মীদের মামলা, চাকরিচ্যুতি, বরখাস্তসহ নানা ধরনের দমন-পীড়ন চালানো হয়।
চলতি বছরের ২১ মে থেকে শহীদ মিনারে ১৬ দিনব্যাপী আন্দোলনের পর বিদ্যুৎ বিভাগের লিখিত আশ্বাসে ৫ জুন কর্মসূচি প্রত্যাহার করা হয়। এরপর ১৭ জুন বিদ্যুৎ বিভাগ দুটি কমিটি গঠন করলেও পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড বাস্তবায়ন না করে কর্মীদের দমন-পীড়নের মাধ্যমে হয়রানি চালায়। আন্দোলনের ফলে ১৭২ জনের নামে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা, ২০ জনকে দীর্ঘদিন জেল খাটানো, ৪০ জনকে বিনা নোটিশে চাকরিচ্যুত, ৮৭ জনকে বরখাস্ত ও সংযুক্ত এবং সাড়ে ৬ হাজার জনকে শাস্তিমূলক বদলি করা হয়েছে।
এবারও ৩১ আগস্ট থেকে ৫ দিন শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হলেও সমাধান না হওয়ায় ৭ সেপ্টেম্বর থেকে গণছুটি কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। বার্তায় উল্লেখ করা হয়েছে, প্রায় দুই বছরের আন্দোলনে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি কখনও বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করেনি। গণছুটি কর্মসূচিতে ৮০টি সমিতির ৪৫ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারীর মধ্যে প্রায় ৩৩ হাজার অংশগ্রহণ করেছিলেন, তবে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে উপকেন্দ্রগুলো চালু রাখা হয়।
বিদ্যুৎ বিভাগের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগের সুযোগ না থাকায় মাঠ পর্যায়ের বাস্তবতা উপেক্ষা করে সমিতিকে ভুলভাবে দেশবিরোধী বা নির্বাচনের অগ্রগতি ব্যাহতকারী হিসেবে চিহ্নিত করা হচ্ছিল।
অবশেষে বিদ্যুৎ উপদেষ্টার আহ্বান এবং আন্তরিক আশ্বাসের পর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি গণছুটি কর্মসূচি স্থগিত ঘোষণা করেছে। কর্মীরা পুনরায় তাদের কর্মস্থলে যোগদান করবেন।
Leave a Reply