নিজস্ব প্রতিনিধি:: খুলনা সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মো: ফিরোজ সরকার বলেছেন, সুষ্ঠু বিনোদনের জন্য পরিচ্ছন্ন পরিবেশ জরুরী। পরিবেশ সংরক্ষণের মাধ্যমে সুন্দর একটি পরিবেশ গড়ে তোলা গেলে ভ্রমণকারীদের সংখ্যা যেমন বৃদ্ধি পাবে তেমনি স্থানীয় ব্যবসায়ী ও ট্রলার চালকদের আয়ও বৃদ্ধি পাবে।
কেসিসি প্রশাসক মঙ্গলবার বিকেলে নগরীর ৭নং ঘাট এলাকায় প্লাস্টিক দূষণ রোধে জনসচেতনতা বৃদ্ধি ও পরিচ্ছন্নতা অভিযানের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন। সাসটেইন্যাবল ক্যাপাসিটি বিল্ডিং টু রিডিউস ইরিভার্সিবল পলুশন (এসসিআইপি) প্লাস্টিক প্রজেক্ট-এর আওতায় খুলনা সিটি কর্পোরেশন ও খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয় (কুয়েট) যৌথভাবে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
কেসিসি প্রশাসক উদ্যোক্তাদের ধন্যবাদ জানান এবং পরিচ্ছন্ন পরিবেশ নিশ্চিত করতে এলাকাবাসীর সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন।
কুয়েট-এর প্রফেসর ড. কাজী হামিদুল বারী’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেসিসি’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) শরীফ আসিফ রহমান, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা রহিমা সুলতানা বুশরা, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিষ্ট্রেট কোহিনুর জাহান ও প্রধান পরিকল্পনা কর্মকর্তা আবির উল জব্বার। কেসিসি’র শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক কর্মকর্তা এস কে এম তাছাদুজ্জামান, কঞ্জারভেন্সী অফিসার মো: অহিদুজ্জামান খান, প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোল্লা মারুফ রশীদ, প্রধান কর নির্ধারক শেখ হাফিজুর রহমান, এস্টেট অফিসার গাজী সালাউদ্দিন, বাজার সুপার শেখ শফিকুল হাসান, সিনিয়র লাইসেন্স অফিসার মো: মনিরুজ্জামান রহিম, ওয়ার্ডের ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: ইমরান হোসেন, পরিবেশবাদী সংগঠন সিয়াম-এর নির্বাহী পরিচালক এ্যাড. মাসুম বিল্লাহ, প্রকল্পের অ্যাওয়ারনেস সেন্টারের প্রধান শেখ ইনজামামুল হকসহ স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ক্লিন আপ-খুলনার সদস্যবৃন্দ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে প্রশাসক মো: ফিরোজ সরকার বর্জ্য সংরক্ষণের জন্য স্থানীয় ব্যবসায়ীদের মাঝে বিন সরবরাহ করেন এবং প্রতিদিন একটি ভ্যানযোগে বর্জ্য অপসারণ করার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন। একইসাথে বিনগুলির যথাযথ ব্যবহার না হলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
Leave a Reply