
গাজী তরিকুল ইসলাম, বটিয়াঘাটা থেকে:: বটিয়াঘাটা উপজেলাধীন বটিয়াঘাটা হাটবাটি হাটে সরকারি ভাবে ৩ কোটি ১৯ লাখ ৮৭ হাজার ৪৭০ টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয়েছে দোতলা বিপণি বিতান। কিন্তু উদ্বোধনের দুই বছর পেরিয়ে গেলেও আজও তা চালু হয়নি মার্কেটটি। ব্যবহার না হওয়ায় নষ্ট হতে চলেছে ভবনটি। উঠে যাচ্ছে ভবনের রং, নষ্ট হচ্ছে বৈদ্যুতিক বাতি, বেসিন,পানির কল সহ অন্যান্য জিনিসপত্র। দীর্ঘদিনেও চালু না হওয়ায় একদিকে সরকারি এ প্রতিষ্ঠানের সুফল থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন স্থানীয়রা, অন্যদিকে সরকারও রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। তবে স্থানীয়রা বলছেন, কি কারনে এখনো চালু করা হচ্ছে না বিপণি বিতানটি তা তাদের বোধগম্য নয়। এলজিইডি সূত্রে জানা গেছে, দেশব্যাপী গ্রামীণ বাজার অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের (CRMIDP) আওতায় ২০২০ সালে বটিয়াঘাটা হাটবাটি হাটে একটি দ্বিতলবিশিষ্ট বিপণি বিতান ভবন নির্মানের কাজ শুরু হয়। মেসার্স ফয়সাল ট্রেডার্স নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ৩ কোটি ১৯ লাখ ৮৭ হাজার ৪৭০ টাকা চুক্তি মূল্যে মার্কেটটি নির্মাণ করে। ভবনটির নাম ফলকে দেখা যায় ১২ অক্টোবর ২০২৩ তৎকালীন খুলনা-১ সংসদ-সদস্য ও হুইপ শ্রী পঞ্চানন বিশ্বাস এমপি, উদ্বোধন করেন । এটি বাস্তবায়নে ছিল স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এল,জি,ই,ডি) বটিয়াঘাটা । তিনি আরও বলেন ২০২৩ সালে উদ্বোধন হলেও কাগজে-কলমে ২০২৪ সালের নভেম্বর মাসে কাজটি হস্তান্তর করে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানটি। কাজটি ২০২০ সালে শুরু হয় ২০২১ সালে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও দুই ধাপে মেয়াদ বাড়িয়ে ২০২৪ সালে কাজটি শেষ হয় বলে জানায় এলজিডি অফিস। সরেজমিন দেখা যায়, অর্ধ শত বছরের পুরনো বটিয়াঘাটা হাটবাটি হাট। এই বাজারের নাম ডাক জেলার গণ্ডি পেরিয়ে রয়েছে দেশব্যাপী। বাজারটির ব্যাপক নাম ডাক থাকলেও অর্ধ শত বছরেও তেমন কোন উন্নয়ন হয়নি এই হাটবাজারটিতে। উপজেলা সদরে হাটবাজারটি হলেও উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত রয়েছে বাজাটি। এছাড়া নির্মিত মার্কেটটির ওপরের তলায় ২৩টি ও নিচ তলায় ৪টি দোকান রয়েছে। নিচতলার অবশিষ্ট অংশ উন্মুক্ত রাখা আছে। মার্কেটটিতে এখনো বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়নি। মার্কেটটির নিচতলায় ছাগল ও কুকুরের আবাসস্থলে পরিণত হয়েছে ও ময়লা আবর্জনায় ভরে আছে। বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয়ে নির্মিত মার্কেটটি অবহেলায় পড়ে রয়েছে। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হোসনে আরা তন্নী বলেন, আমি নিজে সেখানে গিয়ে লোকজনের সঙ্গে কথা বলে মার্কেটটি চালুর উদ্যোগ নিয়েছি। মার্কেট চালু কার্যক্রম চলমান আছে খুব দ্রুতই দোকানগুলো বরাদ্দ দেয়া হবে ।
Leave a Reply