1. dailybanglarkhabor2010@gmail.com : দৈনিক বাংলার খবর : দৈনিক বাংলার খবর
মঙ্গলবার, ০৫ অগাস্ট ২০২৫, ০৩:১৭ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ :
ভারতের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে ট্রাম্প প্রশাসন: ইউক্রেন যুদ্ধে অর্থায়নের অভিযোগ গাজায় আরও ১১৯ ফিলিস্তিনি নিহত জুলাই গণ-অভ্যুত্থান দুঃশাসনের বিরুদ্ধে জনতার বিস্ফোরণ-রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ পাঠ অনুষ্ঠান: ৮ জোড়া ট্রেন কখন-কোথা থেকে ছাড়বে পাইকগাছার সোলাদানায় বিএনপি নেতা ডা. মজিদের গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ জুলাই গণঅভ্যুত্থানের প্রথম বার্ষিকী উপলক্ষে বেনাপোলে জামায়াত শিবিরের গণমিছিল অনুষ্ঠিত খুলনা সিটি কর্পোরেশনের প্রথম বাজেট সভা অনুষ্ঠিত পাইকগাছায় ১৯ মাস পর পরিবারে ফিরলেন মানসিক ভারসাম্যহীন পারুল আক্তার বেনাপোলে বিজিবির অভিযানে মাদক ও চোরাচালানী পণ্য জব্দ পাইকগাছায় চার ইউনিয়নের জলাবদ্ধতা নিরসনে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা নেট-পাটা অপসারণের দাবি

ভারতের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে ট্রাম্প প্রশাসন: ইউক্রেন যুদ্ধে অর্থায়নের অভিযোগ

  • প্রকাশিত: সোমবার, ৪ আগস্ট, ২০২৫
  • ৮ বার পড়া হয়েছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:: রাশিয়া থেকে তেল কিনে ইউক্রেন যুদ্ধকে পরোক্ষভাবে সহায়তা করছে ভারত—এমন অভিযোগ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শীর্ষ এক সহযোগী।

এই মন্তব্যকে ট্রাম্প প্রশাসনের পক্ষ থেকে ভারতের বিষয়ে এখন পর্যন্ত অন্যতম কঠোর অবস্থান হিসেবে দেখা হচ্ছে।

সোমবার ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ট্রাম্প প্রশাসনের ভারতের বিরুদ্ধে তিনটি প্রধান অভিযোগ রয়েছে— রাশিয়া থেকে তেল আমদানি করে যুদ্ধকে অর্থায়ন করা, মার্কিন পণ্যের ওপর উচ্চ শুল্ক আরোপ, মার্কিন অভিবাসন ব্যবস্থায় প্রতারণা।

মার্কিন প্রশাসনের এক শীর্ষ কর্মকর্তা এসব মন্তব্য করেছেন এমন এক সময়ে, যখন রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্য বন্ধে নয়াদিল্লির ওপর চাপ বাড়িয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

হোয়াইট হাউজে ট্রাম্পের ডেপুটি চিফ অব স্টাফ স্টিফেন মিলার রোববার ফক্স নিউজের “সানডে মার্নিং ফিউচারস” অনুষ্ঠানে বলেন, “ট্রাম্প যা বলেছেন তা স্পষ্ট— রাশিয়া থেকে তেল কিনে (ইউক্রেনের) এই যুদ্ধকে অর্থায়ন করা ভারতের পক্ষে গ্রহণযোগ্য নয়।”

তিনি আরও বলেন, “মানুষ জানতে পেরে বিস্মিত হবে যে, রাশিয়া থেকে তেল আমদানির দিক দিয়ে ভারত এখন চীনের সঙ্গে সমানে সমান। এটি একটি অবিশ্বাস্য তথ্য।”

মিলারের এই মন্তব্যকে ট্রাম্প প্রশাসনের পক্ষ থেকে ভারতের বিরুদ্ধে অন্যতম কঠোর অবস্থান হিসেবে উল্লেখ করা হচ্ছে।

তবে তিনি দাবি করেন, “ট্রাম্প সবসময় ভারতের সঙ্গে, বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দারুণ সম্পর্ক রাখতে চেয়েছেন এবং রেখে এসেছেন।”

তবে তিনি আরও যোগ করেন, “কিন্তু আমাদের বাস্তববাদী হতে হবে। রাশিয়ার এই যুদ্ধ কীভাবে টিকে আছে এবং অর্থ পাচ্ছে, তা মোকাবিলায় কূটনৈতিক, আর্থিক এবং অন্যান্য সব পথ ট্রাম্পের সামনে খোলা রয়েছে, যাতে শান্তি প্রতিষ্ঠা সম্ভব হয়।”

এর আগে গত শনিবার ভারত সরকারের ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলো জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের হুমকির পরও ভারত রাশিয়া থেকে তেল কেনা চালিয়ে যাবে।

ব্লুমবার্গের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তেল আমদানি সম্পূর্ণরূপে একটি বাণিজ্যিক সিদ্ধান্ত এবং ভারত সরকারের পক্ষ থেকে সরকারি বা বেসরকারি কোনো রিফাইনারিকে তেল কেনায় নির্দিষ্ট কোনো নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়নি।

এদিকে ট্রাম্প প্রশাসন ভারতের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে। সেই সঙ্গে হুঁশিয়ারি দিয়েছে— ভারত যদি রাশিয়ার কাছ থেকে তেল কেনা অব্যাহত রাখে, তাহলে ওয়াশিংটন নয়াদিল্লির বিরুদ্ধে আরও কঠোর পদক্ষেপ নিতে পারে।

এনডিটিভির দাবি, ইউক্রেন যুদ্ধ থামাতে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ওপর চাপ বাড়াতে ভারত এখন ট্রাম্পের অন্যতম কূটনৈতিক লক্ষ্য হয়ে উঠেছে।

গত সপ্তাহে ট্রাম্প বলেন, “ওরা ব্রিকস জোটে ঢুকে গেছে, রাশিয়ার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রেখেছে। এখন চাইলে নিজেরা ডুবে যাক— নিজেদের মরতে বসা অর্থনীতি নিয়ে।”

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত দৈনিক বাংলার খবর
ওয়েবসাইট ডিজাইন : ইয়োলো হোস্ট