মনির হোসেন, মোংলা:: সময়ের সাথে সাথে ব্যবসা বাণিজ্যের অপার সম্ভাবনা তৈরী হওয়ায় দেশি বিদেশি আমদানি রপ্তানিকারকদের নজর এখন দ্বিতীয় সামুদ্রিক বন্দর মোংলায়। চট্রগ্রাম বন্দরের তুলনায় মোংলা বন্দর দিয়ে পণ্য পরিবহনে খরচ কম এবং সহজ হওয়ায় ২০২৫-২০২৬ অর্থবছরের শুরুতেই বাড়তে শুরু করেছে কন্টেইনারবাহী জাহাজের আগমন। বিদেশি পণ্য আমদানির পাশাপাশি দেশে তৈরী বিভিন্ন ব্র্যান্ডের পোশাক, যন্ত্রপাতি মোংলা বন্দর দিয়ে রপ্তানি করা হচ্ছে ইউরোপ আমেরিকার বিভিন্ন দেশে।
এতে বন্দরের রাজস্ব আয়ও বাড়ছে।
বন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, মোংলা বন্দর দিয়ে কন্টেইনারে পণ্য আমদানি রপ্তানির বিষয়টিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কয়েকটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যে রয়েছে জিটুজি প্রকল্পের আওতায় দুটি কন্টেইনার জেটি নির্মাণ ও কন্টেইনার ইয়ার্ড নির্মাণ প্রকল্প যা চলতি বছরেই শুরু করার কথা রয়েছে।
সংস্থাটি আরো জানায়, সারাবিশ্বে ব্যবসা বাণিজ্যের গতি বৃদ্ধি পাওয়ায় মোংলা বন্দরে ক্রমাগত কন্টেইনারবাহী জাহাজ বাড়বে। জিটুজি প্রকল্পের আওতায় জেটি ও ইয়ার্ডের নির্মাণ কাজ শেষ হলে বড় জাহাজ ভিড়তে পারবে। এতে প্রাথমিক পর্যায়ে বছরে ২ লাখ টিইউজ কন্টেইনার পণ্য আমদানি রপ্তানি করা যাবে। পর্যায়ক্রমে আরো বাড়বে।
এছাড়াও বন্দরের জেটির অভ্যন্তরে সার্বক্ষণিক ড্রেজিং কার্যক্রম চলমান রয়েছে যাতে বড় জাহাজ সহজেই ভিড়তে পারে। তাছাড়া চট্রগ্রাম- মোংলা অভ্যন্তরীণ রুটে কন্টেইনার পরিবহন সার্ভিস শুরু হয়েছে এতে আমদানি রপ্তানিকারকরা চট্রগ্রাম বন্দরের পাশাপাশি মোংলা বন্দর দিয়ে দ্রুততম সময়ের মধ্যে দেশের বিভিন্ন স্থানে পণ্য আনা নেয়া করতে পারছে।
বন্দর কর্তৃপক্ষের উপপরিচালক (জনসংযোগ) মো. মাকরুজ্জামান বলেন, চলতি অর্থবছরে মোংলা বন্দরে বিদেশি কন্টেইনারবাহী জাহাজের মাধ্যমে পণ্য আমদানি-রপ্তানি বেড়েছে। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বন্দর দিয়ে মোট ২১ হাজার ৪৫৬ টিইউজ কন্টেইনার হ্যান্ডলিং করা হয়েছিলো সেখানে চলতি বছরের জুলাই ও আগস্ট মাসে ৬ হাজার ৭৬৯ টিইউজ কন্টেইনার হ্যান্ডলিং করা হয়। আশা করা যায় গত অর্থবছরের তুলনায় এ বছর অন্তত ২০ হাজার টিইউজ কন্টেইনার বেশি হ্যান্ডলিং করা সম্ভব হবে।
Leave a Reply