সোহেল সুলতান মানু, চিতলমারী :: বাগেরহাটের ৪টি সংসদীয় আসন পূর্ণবহালের দাবীতে সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির নেতাকর্মীরা টানা ৪৮ ঘন্টার হরতাল কর্মসূচি পালন করছেন। বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) তৃতীয় দফায় হরতালের প্রথমদিন সড়কে যান চলাচল বন্ধ ছিল। জেলার ৯টি উপজেলা থেকে দুরপাল্লার কোন পরিবহন চলাচল করেনি। হরতালের সমর্থনে সর্বস্তরের মানুষ বিক্ষোভ করেছে। এদিন সকালে ঢাকা-মাওয়া-পিরোজপুর-বাগেরহাট ও চিতলমারী ও খুলনা সড়কের মচন্দপুর মোড়ে গাছের গুঁড়ি ফেলে ও টায়ার জ¦লিয়ে সড়ক অবরোধ করে।
কর্মসূচিতে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী ও সাধারন মানুষ এই হরতালের সমর্থন জানিয়ে অংশগ্রহন করেন। হরতাল চলাকলিন রাস্তায় ভ্যান ড়াড়ি, কিছু ম্যহেন্দ্র ও অটো ভ্যান ছাড়া অন্য কোন যান চলাচল করেনি। জরুরী পরিসেবার বাইরে সকল দোকানপাট ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। কার্যত সারাদেশের সাথে এ উপজেলা বিচ্ছন্ন হয়ে পড়েছে। এতে ভোগান্তিতে আছে নি¤œ আয়ের মানুষ।
সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে কুনিয়া বাসস্ট্যান্ডে পথ সভায় রাখেন, উপজেলা বিএনপির সভাপতি মমিনুল হক টুলু বিশ্বাস, সাধারন সম্পাদক শরিফুল হাসান অপু, জামায়াতে ইসলামীর আমির মাওলানা মনিরুজ্জামান, সেক্রেটারী জাহিদুজ্জামান নান্না, উপজেলা বিএনপির সংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডঃ ফজলুল হক, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ উপজেলা শাখার সভাপতি ডাঃ কাজী আবুল কালাম, সাধারন সম্পাদক মাওঃ শাহাদাৎ হোসেন, উপজেলা যুবদলের আহবায়ক মোঃ জাকারিয়া মিলন, উপজেলা সেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক মোঃ নেয়ামত আলী খান প্রমুখ।
এ সময় বক্তারা বলেন, ‘স্বাধীনতার পর থেকে বাগেরহাট ৪টি সংসদীয় আসন ছিল। কিন্তু হঠাৎ করে নির্বাচন কমিশন একটি আসন বাদ দিয়ে চুড়ান্ত গেজেট প্রকাশ করেন। এতে বাগেরহাট জেলার সাথে বৈসম্যমুলক আচরণ করা হয়েছে। বাগেরহাটে ৪টি সংসদীয় আসন যে ভাবে ছিল সেই ভাবে ফিরিয়ে দিতে হবে। তা না হলে আরো কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।’ #
Leave a Reply