মোঃ জাহিদুল ইসলাম :: বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আউটসোর্সিংয়ে কর্মরত আয়া মরিয়ম আক্তার (২৭) কে হেনস্থা সহ শারীরিক ভাবে লাঞ্চিত করার ঘটনায় থানায় মামলা।
ভুক্তভোগী মরিয়ম আক্তার এর পিতা একই হাসপাতালে কর্মরত হিসাব রক্ষক মাতুব্বর মোঃ রেজোয়ান হোসেন জানান, গত ১৬ সেপ্টেম্বর আনুমানিক সকাল ১১ টার দিকে স্থানীয় জাহাঙ্গীর আলম বাদশা ও মোহাম্মদ আলী কথিত কিছু সাংবাদিক নিয়ে আমার বাড়িতে গিয়ে আমার মেয়ে মরিয়ম আক্তারকে খোঁজাখুঁজি করে। এ সময় মরিয়মকে না পেয়ে তাকে ও তার পরিবারের সদস্যদের এলাকা ছাড়া করতেন হুমকি ধামকি দিয়ে আসে।
পরবর্তীতে হাসপাতালে এসে সাংবাদিক পরিচয় দানকারী তিন ব্যক্তিদের মধ্যে মোঃ শামীম মল্লিক, মোঃ পলাশ শরীফ ও গণেশ পাল চাকরিচ্যুত আয়া শাহিনা বেগমের হয়ে হাসপাতালে কর্মরত মরিয়ম আক্তারকে তার কর্মস্থলে হেনস্তা সহ শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে। এসময় মরিয়ম আক্তারের ভিডিও ধারণ ও ছবি তুলতে গেলে বাধা দেয় সে। তখন মরিয়ম কে অশ্লীল অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করেন কথিত সাংবাদিক পরিচয় দানকারী ওই তিন ব্যক্তি।
এ সময় হাসপাতালের স্টাফ ও ভর্তি রোগীদের স্বজনেরা এই বিষয়টি দেখে এগিয়ে এসে ঘটনার বিষয় জানতে চায় তারা। এ সময় তাদের সাথেও খারাপ ব্যবহার করলে কথিত ওই তিন সাংবাদিককে ধাওয়া দিলে তারা দৌড়ে মোড়েলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতাল কর্মকর্তা ডাঃ মুজাহিদুল ইসলাম এর কক্ষে আশ্রয় নিলে রোগীদের স্বজনদের সাথে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
এ ব্যাপারে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা ডাঃ মুজাহিদুল ইসলাম বলেন, সাংবাদিক পরিচয় দানকারী তিনজন ব্যক্তি দৌড়ে এসে আমার রুমে আশ্রয় নেয়। তখন স্থানীয় এবং রোগীদের স্বজনদের নিবৃত্ত করতে উদ্যোগ নেয়ার পাশাপাশি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে মোড়েলগঞ্জ থানা পুলিশকে তাৎক্ষণিক সংবাদ দিলে পুলিশ এসে পরিস্থিতি তাদের নিয়ন্ত্রণে আনে।
ভুক্তভোগী মরিয়ম আক্তার বলেন, বেশ কিছুদিন ধরে হাসপাতালে আয়া পোস্টে যোগদানের পর থেকে ওই সকল ব্যক্তিরা আমাকে হুমকি ধামকি ও ভয় ভীতি দিয়ে অর্থ দাবি করে আসছে। টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তারা আমার সঙ্গে খারাপ আচরণ করে এ সময় যদি রোগীদের স্বজনরা এগিয়ে না আসতো তাহলে বড় ধরনের সমস্যার সৃষ্টি হতো।
অন্যদিকে মরিয়ম আক্তারের পিতা মাতুব্বর রেজোয়ান হোসেন বলেন, কয়েকদিন আগে হাসপাতালে আউটসোর্সিং এ কর্মরত শাহিনা বেগমের অনিয়ম ও অন্যকে দিয়ে কাজ করায় জনবল নিয়োগ দানকারী প্রতিষ্ঠান একতা আউটসোর্সিং লিঃ এর চাকরির শর্ত ভঙ্গ করার কারণে তাকে চাকরিচ্যুত করেন প্রতিষ্ঠানটি। এরই জের ধরে শাহিনা বেগম ও তার লোকজন আমার মেয়ে মরিয়ম আক্তার ও আমাকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করে এবং আমার মেয়েকে শ্লীলতাহানি করে হামলা চালায়।
এদিকে ভুক্তভোগী মরিয়ম আক্তার জানান, এ ঘটনায় মোড়েলগঞ্জ থানায় একটি মামলা করেছেন তিনি । মামলার নং – ১৫ তারিখ – ২১/৯/২৫ ইং।
Leave a Reply