দাকোপ প্রতিনিধি:: গত বুধবার ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চতুর্থ ধাপের দাকোপ উপজেলা পরিষদের নির্বাচন শান্তি শৃঙ্খলার সাথে সমাপ্ত হওয়া হয়েছে। নির্বাচনের দিন উপজেলার অধিকাংশ ভোট কেন্দ্র পরিদর্শন করেন জেলা প্রশাসক। নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে এস এম আবুল হোসেন, ভাইস চেয়ারম্যান (পুরুষ) পদে কিশোর কুমার রায় এবং ভাইস চেয়ারম্যান (মহিলা) পদে ফাতেমা আক্তার বেসরকারী ভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।
উল্লেখ যে, উপজেলা চেয়ারম্যান পদে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এস এম আবুল হোসেন (ঘাড়া) প্রতীকে ৩৬ হাজার ৩ শত ২৯ ভোট পেয়ে বেসরকারী ভাবে নির্বাচিত হয়েছেন,তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দি ছিলেন উপজেলা যুবলীগের সদস্য মোঃ সাইফুল ইসলাম (চিংড়ি) প্রতীকে ১৮ হাজার ২শত ৬১ ভোট পান। ভাইস চেয়ারম্যান পদে উপজেলা কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি কিশোর কুমার রায় (মাইক) প্রতীকে ২৪ হাজার ৫শত ৭১ ভোট পেয়ে বেসরকারী ভাবে নির্বাচিত হয়েছেন, তার নিকটতম প্রতিদ্বান্দ ছিলেন উপজেলা যুবলীগনেতা জাহিদুর রহমান শেখ মিল্টন (বৈদ্যুতিক বাল্ব) প্রতীকে ২৩ হাজার ৬শত ৬১ ভোট পান। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে আইনজীবি পরিষদের সদস্য ফাতেমা আক্তার (ফুটবল) প্রতীকে ২৫ হাজার ২শত ৯৭ ভোট পেয়ে বেসরকারী ভাবে নির্বাচিত হন,তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দি ছিলেন উপজেলা যুব মহিলা লীগের নেত্রী বিথীকা লতা রায় (প্রজাপতি) প্রতীকে ২৪ হাজার ২শত ৪ ভোট পান। উল্লেখ থাকে যে, ৫জুন বুধবার দাকোপ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন চলাকালিন সময়ে আইন শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর প্রয়োজনীয় সদস্যরা প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তায় ভোটাররা নিবিঘেœ শান্তি শৃঙ্খলার সাথে তাদের পছন্দনীয় প্রার্থীদেরকে ভোট দিতে পেরেছেন।
এদিকে অবাদ, সুষ্ঠ, গ্রহণযোগ্য ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠান পরিচালনার জন্য দাকোপে ভোট গ্রহণের দিন খুলনা জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীন উপজেলার অধিকাংশ ভোট কেন্দ্র সরেজমিনে পরিদর্শন করেন । এ সময় তিনি কয়েকটি ভোট কেন্দ্রে ভোট দিতে আসা ভোটাদের সাথে কথা বললে, ভোটাররা জেলা প্রশাসককে জানান, দীর্ঘ বছর পর আমরা শান্তিপূর্ণ পরিবেশে আমাদের পছন্দনীয় প্রার্থীকে ভোট দিতে পেরে আমরা আনন্দিত।
অপর দিকে দাকোপে নির্বাচন চলাকালিন সময়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জয়দেব চক্রবর্তীর নেতৃত্বে ১২টি টিমের নির্বাহী ম্যাজিস্টেট সঙ্গীয় আইন শৃঙ্খলঅ বাহিনীর সদস্যদের নিয়ে প্রতিটি ভোট কেন্দ্র মুহু, মুহু তদারকি ও পরিদর্শন করায় উজেলার কোথাও কোন অপ্রীতিকর বা সহিংস ঘটনা ঘটেনি। প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।