অরুণ দেবনাথ, ডুমুরিয়া (খুলনা )প্রতিনিধি:: খুলনা-সাতক্ষিরা মহাসড়কের ডুমুরিয়া চুকনগর খর্নিয়ায় অবৈধ গাড়ি পার্কিং করায় জনগণের ভোগান্তি বাড়ছে
যার যেমন খুশি যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং করছে। ডুমুরিয়া উপজেলার ডুমুরিয়া চুকনগর খর্নিয়ায় ব্যস্ত এলাকার প্রধান সড়ক, শপিং মল স্কুল ও মার্কেটের সামনে গড়ে উঠেছে অবৈধ পার্কিং। সৃষ্টি হচ্ছে তীব্র যানজটের। এতে কাঙ্ক্ষিত গন্তব্যে পৌঁছাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে ডুমুরিয়া চুকনগর খর্নিয়া বাসীকে। দেখা যায়, অধিকাংশ অফিস, মার্কেট বা ভবনেই নেই কোনো পার্কিংয়ের ব্যবস্থা। তাই ব্যস্ত বাণিজ্যিক এলাকা, কিংবা মার্কেটের সামনের রাস্তায় চোখে পড়ে অবৈধ গাড়ি পার্কিংয়ের দৃশ্য। এছাড়া সড়কের পাশেই গড়ে ওঠা মার্কেটগুলোতে রাখা হয় না পার্কিংয়ের সুবিধা। ফলে গাড়ির মালিকের ইচ্ছা ও চালকরা সুবিধার জন্য সড়কই বেছে নেন। ফুটপাথ থেকে শুরু করে যেখানে সেখানে রাখা হচ্ছে এসব গাড়ি। যত্রতত্র গাড়ি রেখে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকেন চালকরা। এতে সৃষ্টি হচ্ছে তীব্র যানজট। বিশেষ করে অফিস ও স্কুলের সময়ে অসহনীয় ভোগান্তির শিকার হতে হয় ছাত্র কর্মজীবীদের। সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়,
খুলনা- সাতক্ষীরা মহাসড়কে ডুমুরিয়া চুকনগর খর্নিয়া বাজারের উপর সড়কে বেসরকারি কোম্পানির বাস, সিএনজি অটোরিকশা, মোটরসাইকেল ও ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা পার্ক করে রাখা থাকে দিনরাত। এতে করে প্রধান সড়কটির অধিকাংশই পার্কিং করা গাড়ির দখলে চলে গেছে। এছাড়া উপজেলার সদর চৌরাস্তা, কলেজ মোড়, ক্লিনিকের সামনে, হাসপাতাল মোড়, স্কুলের সামনে, নতুন রাস্তা বাজার, খর্নিয়া, কাঠালতলা, চুকনগর, আঠারো মাইল এলাকায় গেলেই দেখা মিলবে অবৈধ ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা, ইজিবাইক নিয়মিত যাতায়াত করছে। তারা সড়ক দখল করেই যাত্রী উঠা-নামা করাচ্ছেন। সেই সাথে এসব অটোরিকশার অধিকাংশ চালক অনভিজ্ঞ। ফলে সড়কে বিশৃঙ্খলা দেখা দিচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রে কমবয়সি কিশোর এমনকি শিশুদেরও অটোরিকশার ড্রাইভিং সিটে দেখা যাচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দা নারায়ণ অধিকারী বলেন, যানজটের কারণে ১০ মিনিটের রাস্তা যেতে সময় লাগছে ঘণ্টার বেশি। আর যানজট সৃষ্টির অন্যতম কারণ যেখানে সেখানে গাড়ি পার্কিং। রাস্তার পাশে বিশাল মার্কেট নির্মাণ করলেও সেগুলোতে পর্যাপ্ত গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা নেই। আর কিছু মার্কেটে পার্কিংয়ের স্থান রাখা হলেও সেখানে দোকান, শো-রুম, রেস্টুরেন্ট ভাড়া দেওয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ডুমুরিয়ার খর্নিয়ায় অবৈধ স্ট্যান্ডের পরিমাণ অনেক বেশি। যত্রতত্র গড়ে তোলা হয়েছে অবৈধ স্ট্যান্ড। তাদেরকে যেন কোনোভাবেই থামানো যাচ্ছে না। আরেক বাসিন্দা হামিদ শেখ বলেন, ফিটনেসবিহীন গাড়িগুলো বিভিন্ন পয়েন্টে রাস্তার মাঝখান থেকে যাত্রী উঠানো নামানো করে। ফলে প্রতিনিয়তই ঘটছে বড় ছোট দুর্ঘটনা। নিদির্ষ্ট কোন বাস স্ট্যান্ড না থাকায় রাস্তার দুইপাশে এলোমেলো ভাবে গাড়িগুলো দাঁড় করিয়ে রেখে রাস্তাকে আরো সরু করে রাখে তারা। চাকুরী জিবী সোহাগ মোড়ল বলেন, ১৮ মাইল এলাকা থেকে চুকনগর মোটরসাইকেল নিয়ে অফিস সময়ে যাওয়া আসা করা খুবই সমস্যা হয়। অনেক সময় ২০ মিনিটের পথ এক দেড় ঘণ্টা সময় লাগে। এতে অফিসগামী লোকজন ও শিক্ষার্থীদের চরম দুর্ভোগে পড়তে হয়। ডুমুরিয়া উপজেলা এলাকার ভুক্তভোক্তীরা জানান, যততত্র পাকিং আর যেখানে সেখানে বাস, অটোরিকশাগুলো থামিয়ে যাত্রী উঠা নামা করে। এতে করে যে যানজট সৃষ্টি হয় তা দেখার কেউ নেই। ৪ নং খর্নিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শেখ দিদারুল হোসেন দিদার বলেন, অবৈধ গাড়ী চলাচলের উপর কর্তৃপক্ষ নজরদারি বা সঠিক ব্যাবস্থা গ্রহণ করলে ছোটখাটো দুর্ঘটনা সহ যানজট মুক্ত হবে এ বিষয়ে কথা হয় খর্নিয়া হাইওয়ে পুলিশের একজন কর্মকর্তার সাথে তিনি বলেন, আমরা সব সময়ে কঠোর অবস্থানে আছি । তাছাড়া কিছু চালকেরা আইন মানছেনা বলে অভিযোগ আছে। আমরা বিষয়টি দেখছি ট্রাফিক আইন না মানলে আইনগত ব্যবস্থা নিব।
Leave a Reply