বাগেরহাট প্রতিনিধি:: বিগতদিনে আমরা দেখেছি একজন অতিথি আসবেন বলে রাস্তায় স্কুলের বাচ্চাদেরকে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছে। রাস্তায় ৬/৭ ঘন্টা দাঁড়িয়ে থেকে বাচ্চারা অচেতন হয়ে রাস্তায় পড়ে গেছে। আমাদের এইসব প্রাক্টিস থেকে সরে আসতে হবে। যাদের জন্য এগুলো করা হয় তাদেরও বলতে হবে এগুলো বন্ধ করার জন্যে। শনিবার দুপুরে বাগেরহাটের প্রাচীন বিদ্যাপীঠ বাগেরহাট বহুমূখী কলেজিয়েট স্কুলের ১৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন ও অর্থ) নুজহাত ইয়াসমিন প্রধান অতিথির বক্তেব্যে এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, বিভিন্ন উন্নয়নকাজের জন্য বিভিন্নভাবে তদ্বির হয়ে থাকে, অনেক সময় প্রভাবশালীদের চাপে অনেক সময় তাদের কাজ করে দিতে হয়। এসব পুরানো কালচার থেকে সবাইকে বেরিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।
প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ বাগেরহাট বহুমূখী কলেজিয়েট স্কুলের ১৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী বর্ণিল আয়োজনে পালিত হচ্ছে। শনিবার সকালে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সামনে থেকে বর্নাঢ্য র্যালীর মধ্যে দিয়ে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর শুভ সূচনা হয়। সাবেক ও বর্তমান কয়েকশ শিক্ষার্থী অনুষ্ঠানে অংশ নেন। পরে কেক কাটা হয়।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বাগেরহাট বহুমূখী কলেজিয়েট স্কুলের প্রাক্তন ও বর্তমান মিলিয়ে প্রায় দেড় হাজারের বেশি শিক্ষার্থী রেজিস্ট্রেশন (নিববন্ধন) করেন। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে স্কুল প্রাঙ্গণ শিক্ষার্থীদের এক মিলন মেলায় পরিণত হয়। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা তাদের শিক্ষাজীবনের নানা স্মৃতিচারণ করেন।
শিক্ষাজীবনের নানা স্মৃতিচারণে ষাটের দশকের স্কুলের শিক্ষার্থী অধ্যাপক বুলবুল কবির বলেন, ১৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর বর্ণিল আয়োজনে অংশ নিতে পেরে নিজেকে গর্বিত মনে হচ্ছে। এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অনেক স্মৃতি জড়িয়ে আছে। যা বলে শেষ করা যাবেনা। এখানকার শিক্ষকরা অনেকেই এখন বেঁচে নেই। তারা ছিলেন মানুষ গড়ার সত্যিকার কারিগর। তাদের কাছ থেকে যে শিক্ষা পেয়েছি তা কোনদিন ভুলতে পারবনা।
বাগেরহাট বহুমূখী কলেজিয়েট স্কুলের গভর্নিং বডির সভাপতি এম এ সালামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা ও স্মৃতিচারণ সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন ও অর্থ) নুজহাত ইয়াসমিন, উদ্বোধক সাবেক সচিব মোহাম্মদ মশিউর রহমান, সম্মানিত অতিথি ড. মো. ফরিদুল ইসলাম, বিশেষ অতিথি মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আজাদ খান ও বাগেরহাটের পুলিশ সুপার মো. তৌহিদুল আরিফ।
Leave a Reply