অরুন দেবনাথ, ডুমুরিয়া, খুলনা প্রতিনিধি শালতা নদীর চরে শামুক পুড়িয়ে চুন তৈরির কারখানা থেকে বিষাক্ত ধোঁয়া ও তীব্র দূর্গন্ধে ডুমুরিয়া উপজেলার ধানিবুনিয়া-সহ আশ-পাশের গ্রামগুলোর পরিবেশ বিপর্যয়ের পাশাপাশি জনজীবনে মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকি দেখা দিয়েছে।
ভুক্তভোগী এলাকাবাসী ও সংশ্লিষ্ট কারখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ২ বছর আগে খুলনা এলাকা থেকে জনৈক সবুজ সরদার এসে ডুমুরিয়া উপজেলার ভান্ডারপাড়া ইউনিয়নের পূর্বপাশে ধানিবুনিয়া গ্রাম, অপরপাশে বটিয়াঘাটা উপজেলার খলশীবুনিয়া গ্রামের মাঝ দিয়ে বয়ে চলা মৃতপ্রায় শালতা নদীর চরের জমিতে শামুক পুড়িয়ে চুন তৈরির কারখানা গড়ে তুলেছে।
এ অঞ্চলের অধিকাংশ চিংড়ি চাষি শামুকের শক্ত খোলসের ভেতরে থাকা শরীর(মাংস) বের করে ঘেরে মাছের খাবার হিসাবে ব্যবহার করে। আর শক্ত খোলস বা খোসা ১০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করে দেয়। আর সেই খোসা কিনে কারখানা মালিক তা পুড়িয়ে পানে খাওয়া সময় ধোঁয়া হয়, তাতে মানুষের কোনো ক্ষতি হওয়ার কথা না। ওরা আমার কাছে চাঁদা দাবি করেছিলো, কিন্ত আমি তা না দেওয়ায় অভিযোগ করেছে।
ডুমুরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আল-আমিন বলেন, আমি দ্রুতই ব্যবস্থা নিচ্ছি। খুলনা পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক সাদিকুল ইসলাম বলেন, অভিযোগটি জেনেছি। আমি দেখছি।
Leave a Reply