বাগেরহাট প্রতিনিধি :: নিয়ম নিতির তোয়াক্কা না করে স্থানীয় তহশিলদারের যোগসাজোসে সরকারি জমিতে পাকা ঘর নির্মান করা হচ্ছে। ঘটনাটি ঘটেছে বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জের হোগলাপাশা ইউনিয়নের ৫৮ নং কিছমত বৌলপুর গ্রামে। এ ঘটনায় মোঃ জোহর আলী খাঁ বাদি হয়ে ছাকায়েত শিকদারের বিরুদ্ধে বাগেরহাট জেলা প্রশাসক দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এর নির্দেশে বনগ্রাম ইউনিয়ন ভুমি অফিসের তহশিলদার স্বপন দাস তদন্তে যায় নির্মান কাজ বন্ধ করতে ছাকায়েত শিকদারের বাড়িতে গিয়ে চা মিস্টি খেয়ে এসছেন বলে অভিরযাগ উঠেছে।
অভিযোগে জানাগেছে,উপজেলার হোগলাপাশা ইউনিয়নের ৫৮ নং কিচমত বৌলপুর মৌজায় এস এ খতিয়ান ২৪৭, ৮ একর ৪৯ শতক জমি ডিসিআর ভূক্ত সরকারি সম্পত্তির একটি অংশে নিয়ম বর্হিভূত জোরপূর্বক পাকা ইমারত নিমার্ণ করছে কিচমত বৌলপুর গ্রামের কৃষক ছাকায়েত শিকদার ও তার লোকজন। এ ঘটনায় ডিসিআর সূত্রে মূল মালিক জোহর আলী খা বিষয়টি ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তাকে অবহিত করেও কোন ব্যবস্থা হয়নি। পরবর্তীতে জেলা প্রশাসকের দপ্তরে লিখিত একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন ভূক্তভোগী জোহর আলী খা।
জোহর আলী খাঁ বলেন, কিচমত বৌলপুর গ্রামের ৮ একর ৪৯ শতক জমি সরকারের ডিসিআর ও খাসখতিয়ানে অন্তভূক্ত। এর মধ্যে ৩ একর ৬৫ শতক সম্পূর্ণ ডিসিয়ারের আওতায় থাকলেও ডিসিয়ার না কেটে প্রভাব খাটিয়ে পাকা ইমারত নিমার্ণ করছে। তার ডিসিআর নবায়নকৃত জমির ধান ইতোপূর্বে কেটে নিয়েছে এ প্রভাবশালী মহল। তাদের বিরুদ্ধে মামলা করে ও পরিবার নিয়ে আতঙ্কে রয়েছেন। ছাকায়েত শিকদারের স্ত্রীর নামে ২৪ শতক ডিসিয়ারভূক্ত জমি ওই দাগে নয়। অন্য দাগে রয়েছে অথচ সে সরকারি কর্মকর্তা ও স্থানীয়দের কোন কথা কর্নপাত না করে পাকা ইমারাত করে যাচ্ছেন। এ বিষয়ে পাকা ইমারাত নিমার্ণকারি ছাকায়েত শিকদারের স্ত্রী বিলকিচ বেগম বলেন, তিনি কোন সরকারি জমিতে পাকা ঘর তৈরি করছেন না। পৈত্রিক দলীলকৃত ১৪ শতক জমি ও ডিসিয়ারের ২৮ শতক জমি রয়েছে এর মধ্যে পাকা ঘর করছেন।
এব্যাপারে বনগ্রাম ইউনিয়ন ভুমি অফিসের তহশিলদার স্বপন দাস এর সাথে মোবাইল ফোনে বার বার কথা বলার চেষ্টা করে ও পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে মোরেলগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ বদরুদ্দোজা বলেন, কিচমত বৌলপুর এলাকায় ভিপি ও খাস খতিয়ানে অনেক জমি রয়েছে। ইতোপূর্বে ভূমিহীন হিসেবে ডিসিয়ার নবায়ন দেওয়া হয়েছে। এখন অনেকেই ডিসিয়ার না কেটে জমি ভোগ দখল পাকা ইমারত করছে। ইউনিয়ন তহশীলদারকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। পরবর্তীতে পুনরায় সার্ভেয়ারকে সরেজমিনে গিয়ে সরকারি সম্পত্তি পরিমাপ করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
Leave a Reply