1. dailybanglarkhabor2010@gmail.com : দৈনিক বাংলার খবর : দৈনিক বাংলার খবর
রবিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২:৪৫ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ :
ঢালিউডের প্রযোজক ও অভিনেতা রুহুল আমিন বাবুলের মৃত্যু সিএমপির ১৬ থানায় ওসিদের রদবদল শেখ হাসিনা ভারতে থাকবেন কি না, তা নিজেই সিদ্ধান্ত নেবেন-এস জয়শঙ্কর খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় চিতলমারীতে সেচ্ছাসেবক দলের দোয়া মাহফিল আমরা সেবক হিসেবে মানুষের পাশে দাঁড়াতে চাই-মাওলানা আজিজুর রহমান মোংলায় কোস্টগার্ডের অভিযানে বিরল প্রজাতির তক্ষকসহ পাচারকারী আটক খালেদা জিয়া দেশের কোটি মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছেন- বাপ্পী মায়ানমারে পাচারকালে পণ্য ও ঔষধসহ ৬ পাচারকারীকে আটক করেছে কোস্টগার্ড পাইকগাছায় পাখি শিকার রোধে বনবিবি’র লিফলেট বিতরণ খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডন ব্রিজ হাসপাতাল প্রস্তুত

নির্বাচিত সরকার ছাড়া ঋণের অর্থ দেবে না আইএমএফ

  • প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর, ২০২৫
  • ১২৬৬ বার পড়া হয়েছে

ডেস্ক:: নির্বাচিত সরকার গঠনের আগ পর্যন্ত বাংলাদেশকে ঋণের ষষ্ঠ কিস্তি দেবে না বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিল (আইএমএফ)।

সম্প্রতি ওয়াশিংটনে আইএমএফ ও বিশ্বব্যাংকের বার্ষিক সভার ফাঁকে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুরের সঙ্গে বৈঠকে এই বার্তা দেয় আইএমএফ।

ষষ্ঠ কিস্তিতে আইএমএফ থেকে প্রায় ৮০ কোটি ডলার পাওয়ার কথা। তবে, চলমান সংস্কার কার্যক্রমের ধারাবাহিকতা এবং নতুন সরকারের নীতিগত অবস্থান স্পষ্ট না হওয়া পর্যন্ত অর্থ ছাড়ে অনিচ্ছা প্রকাশ করেছে সংস্থাটি।

গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর জানান, চলতি ডিসেম্বরেই ঋণের কিস্তি ছাড় হওয়ার কথা থাকলেও নির্বাচনপূর্ব সময়ে আইএমএফ তা দিতে রাজি নয়। তবে, আমাদের রিজার্ভ পরিস্থিতি ভালো, ডলার স্থিতিশীল। আইএমএফ’র নীতিসহায়তা গুরুত্বপূর্ণ, তবে তাদের অর্থ ছাড়া দেশ চলবে।

অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, আইএমএফ যদি কঠিন শর্ত আরোপ করে, বাংলাদেশ তা মানবে না। এখন দেশ আগের মতো সংকটে নেই।

সংশ্লিষ্টদের মতে, নির্বাচনকে সামনে রেখে আইএমএফ এখন তাদের শর্ত বাস্তবায়নে চাপ তৈরি করছে। কারণ, নির্বাচনের আগে ঋণ না ছাড়ার অর্থ হলো বাংলাদেশ শর্ত মানছে না এমন একটি বার্তা বৈশ্বিক অঙ্গনে দেওয়া। নতুন সরকার এলে তাদের কাছ থেকে প্রতিশ্রুতি নিয়ে পরে ঋণ ছাড়তে চায় সংস্থাটি।

এর আগে ২০০১ সালেও নির্বাচন পূর্ব সময়ে আইএমএফ অনুরূপ চাপ প্রয়োগ করেছিল। এমনকি জ্বালানি ও মুদ্রানীতিতে কড়াকড়ি আরোপ করে ২০২২ সালে ঋণের শর্তে তেল ও গ্যাসের দামও বাড়াতে বাধ্য করেছিল সরকার। মুদ্রার অবমূল্যায়নের ফলেই দেশে মূল্যস্ফীতির হার বেড়ে যায়।

এদিকে, ঋণের ষষ্ঠ কিস্তির শর্ত পর্যালোচনায় ২৯ অক্টোবর আইএমএফ’র একটি প্রতিনিধিদল ঢাকা সফরে আসছে। দুই সপ্তাহ তারা সরকারের বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে বৈঠক করবে। ফিরে গিয়ে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দাখিল করবে মূল্যায়ন প্রতিবেদন। কিস্তি ছাড়ে এই প্রতিবেদন হবে গুরুত্বপূর্ণ।

বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, বর্তমান বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩ হাজার ২১৪ কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছে। রেমিট্যান্স ও রপ্তানিতে ইতিবাচক গতি রয়েছে, আমদানি ব্যয় নিয়ন্ত্রিত। চলতি হিসাবেও ঘাটতি নেই।

উল্লেখ্য, ২০২২ সালের বৈশ্বিক অর্থনৈতিক চাপে আইএমএফ’র কাছে সহায়তা চায় সরকার। ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ অনুমোদন করে আইএমএফ, যা পরবর্তীতে ৫৫০ কোটি ডলারে উন্নীত হয়। ইতোমধ্যে পাঁচ কিস্তিতে ৩৬০ কোটি ডলার পেয়েছে বাংলাদেশ।

 

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত দৈনিক বাংলার খবর
ওয়েবসাইট ডিজাইন : ইয়োলো হোস্ট