সাগর ঘোষ , মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি:: টাঙ্গাইলের মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (মাভাবিপ্রবি) বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহীদ ও আহতদের স্মরণে স্মরণসভা এবং জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের ঘটনা প্রবাহ নিয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (৩০ নভেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম একাডেমিক ভবনের ইএসআরএম সেমিনার কক্ষে এই স্মরণসভা এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
উক্ত স্মরণসভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ারুল আজীম আখন্দ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অধ্যাপক ড. মো. ফজলুল করিম এবং সদস্য সচিব হিসাবে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক ড. মো. দেলোয়ার জাহান মলয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য বলেন, “তোমাদের কথা আমি আগ্রহী নিয়ে শুনছিলাম এবং আমি ভাবছিলাম আন্দোলনে সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ও সেখানকার পরিবেশ ভিন্ন ছিল। তরুণরা স্বপ্ন দেখে এবং স্বপ্ন দেখায়। আমি তোমাদেরকে অনেক সম্মান করি, তোমরা নতুন একটা দেশ গঠন কর যেখানে কোন বৈষম্য থাকবে না। যে বাংলাদেশ হবে বিজ্ঞানের বাংলাদেশ, প্রযুক্তির দেশ, গণমানুষের দেশ । যেখানে কোন অন্যায় অবিচার থাকবে না। আমরা চাই এখন যেমন একটা সুযোগ আসছে তোমরা সুযোগটাকে কাজে লাগাও। আমি মনে করি তোমরা পারবে এই দেশকে পরিবর্তন করতে।”
এছাড়া উক্ত অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন প্রক্টর ড. মো. ইমাম হোসেন, জাহানারা ইমাম হলের প্রভোস্ট ড. মোছা. নুরজাহান খাতুন, আইকিউএসির ডিরেক্টর অধ্যাপক ড. মো. মতিউর রহমান, বায়োটেকনোলজি ও জেনেটিক ইন্জিনিয়ারিং বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মো. এ.কে.এম মহিউদ্দিন এবং ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন ড. কানিজ মরিয়ম আক্তার।
স্মরণসভা শেষে অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের আহত আইসিটি বিভাগের শিক্ষার্থী আশরাফুল ইসলাম হৃদয় ক্যাম্পাসে আন্দোলনের সময়ের গল্প শুনান। পরবর্তীতে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের ঘটনা নিয়ে “দাম দিয়ে কিনেছি বাংলা” নামক নাটক মঞ্চত্ব হয়। এছাড়া ধ্রবতারার সদস্যরা দেশাত্মবোধক গান ও কবিতা আবৃত্তি করেন।
পাশাপাশি উক্ত অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান ও শিক্ষকগণ, আহত শিক্ষার্থী, কর্মকতা, কর্মচারী ও সাংবাদিকবৃন্দ।
Leave a Reply