অরুন দেবনাথ. ডুমুরিয়া , খুলনা (প্রতিনিধি):: আসন্ন কোরবানি ঈদের জন্য ডুমুরিয়া উপজেলার মধ্যে সবচেয়ে বড় গুরুটির নামই বাদ পড়েছে উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের তালিকা থেকে।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আসন্ন কোরবানির ঈদের জন্য সমগ্র ডুমুরিয়া উপজেলার গরু-ছাগল খামারিদের কাছে বিক্রির জন্য ছোট-বড় ৪২ হাজার গরু ও ৩৩ হাজার খাসি ছাগল মজুদ আছে। তার মধ্যে বাছাই করে গত ২৯ এপ্রিল বড়-গরুর খামারিদের মধ্যে থেকে ৩৪ জনের একটি তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। ওই তালিকায় উপজেলার রুদাঘরা ইউনিয়নের হাসানপুর এলাকার মাষ্টার মোজাহার আলী’র গুরুটির আনুমানিক ওজন ৪০ মন ধরা হয়েছে। এছাড়া উপজেলার সেনপাড়ার আব্দুল লতিফ মৌলঙ্গী গরুটিকে ৩৫ মন ওজন দেখানো হয়েছে। কিন্তু দীর্ঘদিনের খামারি রঘুনাথপুর ইউনিয়নের পুলিশ ক্যাম্পের পিছনে মিনু সাহা’র নামই ওই তালিকায় নেই। সরেজমিনে তাদের বাড়িতে যেয়ে দেখা গেছে, তার ১২ফুট-৮ফুটের ছোট্ট গোয়াল ঘরের মধ্যে একটা বিশাল এড়ে গরু। সাড়ে ৩ বছর বয়সী গরু ‘মানিক’-কে ওই গোয়ালের লোহার দরজা না ভেঙ্গে বের করাই অসম্ভব। তবে উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের তালিকানুসারে মোজহার মাষ্টারের গরু ‘নুন্টু’র আকার বা ওজনও কম নয়।
ইতোমধ্যে রঘুনাথপুরের মিনু সাহা’র মানিকের দাম উঠেছে, ১০ লাখ। তার চাহিদা আরও বেশি। আর মোজহার মাষ্টারের গরু ‘নুন্টু’র ৮ লক্ষাধিক টাকা দাম উঠেছে।
এ প্রসঙ্গে মিনু সাহা বলেন, গরুর খাবারের পেছনে অনেক খরচ। আসল ক্রেতা হলে ১২ লাখে ছাড়বো। আর মোজহার মাষ্টারের স্ত্রী রুমিচা বেগম বলেন, এখন প্রতিদিন ৭-৮’শ টাকার খাবার লাগে। তাই ১০ লাখের কম হলে আমাদের চরম ক্ষতি।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার আশরাফ কবির দুটি গরুর ছবি দেখে বলেন, আমি যাদের সহায়তায় তালিকা করেছি তাদের ভুলের জন্য সব থেকে বড় গরুটির তথ্য পাইনি। এখনই তালিকা আপডেট করবো।
Leave a Reply