
ডেস্ক:: লাখো মানুষের অশ্রুসিক্ত বিদায় আর রাষ্ট্রীয় সম্মানে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম রূপকার ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শহীদ শরিফ ওসমান হাদি।
শনিবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ প্রাঙ্গণে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের কবরের পাশে তাঁকে সমাহিত করা হয়।
জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় জানাজা শেষে এক বিশাল শোক মিছিলের মাধ্যমে শহীদ হাদির মরদেহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় নিয়ে আসা হয়। সেখানে প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাঁকে ‘গার্ড অব অনার’ প্রদানের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা জানানো হয়। এরপর ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী তাঁকে দাফন করা হয়। এ সময় তাঁর সহযোদ্ধা, পরিবারের সদস্য এবং হাজার হাজার সাধারণ মানুষের কান্নায় এক শোকাতুর পরিবেশের সৃষ্টি হয়।
দাফন শেষে উপস্থিত ছাত্র-জনতা শহীদ হাদির কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এ সময় ‘শহীদ হাদি অমর হোক’ স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা। উপস্থিত সহযোদ্ধারা অঙ্গীকার করেন, যে ইনকিলাবের স্বপ্ন দেখে হাদি নিজের জীবন উৎসর্গ করেছেন, তা বাস্তবায়নে তাঁরা অবিচল থাকবেন।

উল্লেখ্য, গত ১২ ডিসেম্বর রাজধানীর পুরানা পল্টনে সন্ত্রাসীদের গুলিতে গুরুতর আহত হয়েছিলেন ওসমান হাদি। দীর্ঘ এক সপ্তাহ ঢাকা ও সিঙ্গাপুরের হাসপাতালে জীবনের সাথে লড়াই করে গত বৃহস্পতিবার রাতে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। তাঁর স্মরণে আজ সারাদেশে রাষ্ট্রীয় শোক পালন করা হচ্ছে। শোকাতুর জাতির পক্ষ থেকে তাঁকে আজ শেষ বিদায় জানানো হলো।
Leave a Reply