
নিজস্ব প্রতিবেদক:: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ সংলগ্ন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের সমাধিসৌধের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শহীদ শরীফ ওসমান বিন হাদি (ওসমান হাদি)।
শনিবার বিকেল সাড়ে ৩টায় কবির সমাধির পাশেই তাঁকে দাফন করা হয়। দাফন সম্পন্ন হওয়ার পর সন্ধ্যা পেরিয়ে রাত নামলেও প্রিয় নেতাকে একনজর দেখতে ও তাঁর কবরের পাশে দাঁড়িয়ে জিয়ারত করতে সাধারণ মানুষের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।
শনিবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে সরেজমিনে দেখা যায়, শাহবাগ ও টিএসসি এলাকার ব্যারিকেড তুলে নেওয়া হলেও কবরস্থান ও মসজিদ এলাকায় কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা বজায় রাখা হয়েছে। নিরাপত্তার স্বার্থে রাতে কাউকে কবরস্থানের ভেতর প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না; তবে বাইরে থেকেই হাজারো মানুষ তার রুহের মাগফিরাত কামনায় দোয়া করছেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা গেটে সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন এবং রাতেও এখানে বিশেষ পুলিশি প্রহরা অব্যাহত থাকবে বলে জানানো হয়েছে।
এর আগে দুপুর আড়াইটায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় শহীদ হাদির জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। লাখো মানুষের উপস্থিতিতে জানাজা পড়ান তাঁর বড় ভাই আবু বকর সিদ্দিক। দাফনের সময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান, ‘আমার দেশ’ সম্পাদক মাহমুদুর রহমান, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ এবং ডাকসুর সাবেক নেতৃবৃন্দসহ হাদির শোকসন্তপ্ত পরিবার-পরিজন।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত এক কর্মকর্তা জানান, নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে আগামীকালও এই এলাকায় বাড়তি সতর্কতা বজায় রাখা হতে পারে। তবে ঠিক কবে নাগাদ সাধারণের জন্য কবরস্থানটি উন্মুক্ত করা হবে, সে বিষয়ে নির্দিষ্ট কোনো সময় জানানো হয়নি। শহীদ ওসমান হাদির অকাল প্রয়াণে পুরো বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা ও রাজপথে এখনো এক গভীর শোকাবহ পরিবেশ বিরাজ করছে।
Leave a Reply