1. dailybanglarkhabor2010@gmail.com : দৈনিক বাংলার খবর : দৈনিক বাংলার খবর
শনিবার, ১০ মে ২০২৫, ০৩:১০ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ :
বেনাপোলে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ ও গণহত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ নিয়ে নিজেদের অবস্থান জানালো অন্তর্বর্তী সরকার সাংবাদিক জাকিরের স্মরনে শোকসভা ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত বিএনপির অপেক্ষায় ঐক্যবদ্ধ শাহবাগ-সারজিস আলম জুলাই গণ-অভ্যুত্থান অধিদপ্তর গঠন প্রধান উপদেষ্টা নির্বিঘ্নে ধর্ম পালনে বড় ভূমিকা রাখবে ‘লাব্বাইক’ অ্যাপ পাইকগাছায় সাইবার নিরাপত্তা আইনের মামলায় গ্রেফতার- ১ নারায়ণগঞ্জে কোস্টগার্ডের অভিযানে অবৈধ চিংড়ি রেণু জব্দ শার্শায় বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু সেন্টমার্টিনে কোস্টগার্ডের আয়োজনে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা ও ঔষধ বিতরণ

তবে কী ভারত ‘ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনা’কে ফেরত দেবে?

  • প্রকাশিত: রবিবার, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
  • ১০৪ বার পড়া হয়েছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:: গণআন্দোলনের মুখে দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আর এ কারণে বেশ বেকায়দায় পড়েছে নয়াদিল্লি।

কারণ, শেখ হাসিনাকে ফেরত দেওয়ার জন্য নয়াদিল্লির ওপর চাপ বাড়ছে। এই চাপ ভারতকে কূটনৈতিক জটিলতায় ফেলে দিতে পারে, যার প্রভাব পড়বে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কে।

শনিবার সংবাদমাধ্যম দ্য ডিপ্লোম্যাটের এক প্রতিবেদনে এসব কথা জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শেখ হাসিনাকে ফেরত দিতে ভারত আইনগত দিক থেকে বাধ্য। ২০১৩ সালের বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে হওয়া প্রত্যর্পণ চুক্তিতে যেসব ধারা রয়েছে সেগুলো অনুযায়ী, শেখ হাসিনাকে ভারতের ফেরত দিতে হবে। তবে তারা চাইলে চুক্তির কিছু ধারা দেখিয়ে তাকে প্রত্যর্পণে অস্বীকৃতিও জানাতে পারে। শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত হত্যা, নির্যাতন, গুম, গণহত্যা এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে শতাধিক মামলা হয়েছে। আর এসব অভিযোগ ওঠায় তাকে ভারতের রাজনৈতিক আশ্রয় দেওয়াও কঠিন হতে পারে।

দ্য ডিপ্লোম্যাট বলেছে, ভারত কয়েকটি কারণ দেখিয়ে শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশের কাছে ফেরত নাও দিতে পারে। কিন্তু এর মাধ্যমে বাংলাদেশের অন্তর্র্বতী সরকারের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক খারাপ হওয়ার শঙ্কা থাকবে।

বাংলাদেশ ও ভারত সরকার ২০১৩ সালে প্রত্যর্পণ চুক্তি করে। এরপর ২০১৬ সালে তা সংশোধন করা হয়। চুক্তিতে বলা আছে, যদি কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ আনা হয় এবং সেই অভিযোগে সর্বনিম্ন এক বছর বা তারও বেশি কারাদণ্ড হওয়ার সম্ভাবনা থাকে তাহলে তাকে ফেরত দিতে হবে। তবে এরমধ্যে আবার দুটি গুরুত্বপূর্ণ ধারাও রয়েছে। ৬ নম্বর ধারায় উল্লেখ আছে, যদি কোনো দেশ মনে করে অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে মামলা করা হয়েছে তাহলে তাকে প্রত্যর্পণে অস্বীকৃতি জানানো যাবে। কিন্তু এই ধারাতেই আবার বিশেষভাবে উল্লেখ আছে— হত্যা, সন্ত্রাসবাদ ও অপহরণের মতো অপরাধগুলো রাজনৈতিক অভিযোগ হিসেবে বিবেচনা করা হবে না। আর শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত যেসব মামলা করা হয়েছে সেগুলোর সবই হত্যা, অপহরণ ও মানবতা বিরোধী অপরাধের অভিযোগে করা হয়েছে।

দ্য ডিপ্লোম্যাটের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো বিবেচনা করলে দেখা যাচ্ছে ধারা ৬ অনুযায়ী ভারত তাকে ফেরত দিতে অস্বীকৃতি জানাতে পারবে না। আবার ধারা ৮ অনুযায়ী, যদি ‘অসৎ নিয়তে’ কারও বিরুদ্ধে কোনো মামলা করা হয় তাহলে তাকে ফেরত দিতে অস্বীকৃতি জানানো যাবে। আর এই ধারা ৮ ব্যবহার করতে পারে ভারত। সেক্ষেত্রে তারা দাবি করতে পারে হাসিনার বিরুদ্ধে সঠিক বিচার করার ‘সৎ নিয়তে’ মামলা করা হয়নি।

এদিকে, শেখ হাসিনা যেহেতু ভারতের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মিত্র ছিলেন। তাই ভারত এই ধারা ব্যবহার করতে পারে। আর বাংলাদেশ সরকার শেখ হাসিনাকে ফেরত চাওয়ার পরও যদি ভারত ফেরত না দেয়, সেক্ষেত্রে দুই দেশের সম্পর্কের অবনতি হতে পারে।

 

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত দৈনিক বাংলার খবর
ওয়েবসাইট ডিজাইন : ইয়োলো হোস্ট